ঘুমের অভ্যাস
বর্ণনা এলাকা
কিন্তু উটারসন এও জানাতে ভোলেননি যে, একটু ঘুমের ফলে কিভাবে অ্যাথলেটরা আবার সজীব হয়ে ওঠেন, "১২ মিনিটের ঘুমের ফলে আপনি দুই ঘণ্টার জন্য নিজেকে সতেজ রাখতে পারবেন।" তবে গভীর ঘুমে তলিয়ে যাওয়ার আগেই আবার সজাগ হতে হবে আপনাকে।
এর জন্য একটি সহজ উপায়ও বাতলে দিয়েছেন উটারসন। স্বল্প সময়ের ঘুমের সময় তিনি হাতে একগোছা চাবি রাখতে বলেন। গভীর ঘুমে চলে যাওয়ার সময় মানুষের হাত ছেড়ে দেয়, ফলে চাবির গোছা নিচে পড়ে যাবে এবং এর শব্দে আপনি জেগে উঠবেন।
৩। ছোট ছোট পদক্ষেপ থেকেই বড় পরিবর্তন
উটারসন বিশ্বাস করেন যে, এক লাফেই ঘুমের অভ্যাস বদলে দেয়ার মত কোনো দ্রুততর উপায় নেই। তার জন্য আপনাকে একাধিক বিষয়ের প্রতি নজর দিতে হবে।
"ডায়েট, ব্যায়াম, ঘুমের রুটিন ইত্যাদি পরিবর্তন করতে থাকার মাধ্যমে আপনি আস্তে আস্তে সঠিক ঘুমের অভ্যাস অর্জন করবেন", জানালেন উটারসন। কিন্তু নিজেকে যাচাই করা, নিজের আচরণ লক্ষ্য করার মাধ্যমে অভ্যাস ঠিক করাই উটারসনের কাছে সবচেয়ে ভালো অপশন।
৪। ভালো খাবার খান এবং ফোনকে সাময়িক বিদায় জানান
রাতে ভাল ঘুম নিশ্চিত করতে হলে খাওয়া এবং হাতকে বিশ্রাম দেয়া প্রয়োজন।
চিনি, শর্করা, অ্যালকোহল জাতীয় খাবারের সঠিক সমন্বয় করতে হবে বলে জানিয়ে উটারসন বলেন, 'রাতে ভালো ঘুমের প্রক্রিয়া আসলে কি খাচ্ছেন, তা থেকেই শুরু হয়।'
গণমাধ্যম প্রচার করে যে, বাইরের জগতের নানা ঘটনা দ্বারা একজন মানুষের মন আলোড়িত হয়। কিন্তু উটারসন পরামর্শ দিয়েছেন, নিজস্ব গন্ডির উপর মূল মনোযোগ রাখতে। আপনাকে চিন্তা করতে হবে নিজের জীবনে কি কি চ্যালেঞ্জ আছে কিংবা কোনটি আপনাকে প্রভাবিত করছে, সেসব বিষয় নিয়ে। সমস্যা নিয়ে খুব বেশি দুশ্চিন্তা করলেই সমস্যার সমাধান হবে না, বরং তা আরও জটিল হবে।
'মিডিয়া ডায়েট' শব্দদ্বয়ের কথা হয়তোবা আপনি আগে কখনো শোনেননি; কিন্তু উটারসন সেটিরই পরামর্শ দিয়েছেন। সন্ধ্যায় এবং ঘুমানোর কয়েক ঘণ্টা আগে আপনার স্মার্টফোন ব্যবহার করাটা বন্ধ রাখুন।